ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভালুকার সার্বিক উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকার মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন পূর্ব শত্রুতার জেরে গাছ কর্তন ও বাড়ি ঘরে হামলা গুরুতর আহত ০১ ফ্রি চিকিৎসাসেবা রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার : অধ্যক্ষ হেলালী তরজুমানুল কুরআন ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে কুরআন বিতরণ সোনাতলায় লটারীর মাধ্যমে ৬ পয়েন্টে ওএমএস ডিলার নিয়োগ “শিক্ষা শুধু মেধা বিকাশই করেনা বরং হৃদয়কে মানবিক করে” গফরগাঁওয়ে সৌদি সরকারের দুম্বার মাংস বিতরণ কেশবপুরে “শেকড়ের সন্ধানে”র আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ৫০০০ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে চট্টগ্রামে আন-নাবিল বৃত্তি পরিক্ষা সম্পন্ন

কৃষানীসহ তিন ছেলে গুলিবিদ্ধ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পাবনা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

চাঁদা না দেওয়ায় জাতীয় পদক প্রাপ্ত কৃষানী ও জয় বাংলার নারী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী নুরুন্নাহার বেগমসহ তার তিন ছেলে গুলিবিদ্ধ শিরোনাম সহ বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা সলিমপুর ইউনিয়নের মাস্টার মোড় সংলগ্ন ওয়ার্ড ছাত্রদলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা তারুণ্যদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাব্বি মালিথার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা ছাত্রদল নেতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইব্রাহিম হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় উল্লেখিত সংবাদে, আলতাফ শাহের মাজারে বার্ষিক ওরশের নামে চাঁদা নিতে আমার নেতৃত্বে একদল যুবক নুরুন্নাহার বেগমের বাড়িতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ৩ হাজার টাকা আদায়ের কথা বলা হয়েছে। এবং চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওরশ শেষে আবারো ৫ লাখ টাকা চাদা দাবী করে নুরুন্নাহার বেগমকে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং কাল্পনিক। এহেন মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সংবাদের আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় আমি ও আমার নেতা আরিফ বাঙ্গালের নেতৃত্বে কৃষাণী নুরুন্নাহারের বড় ছেলে রায়হান কবির হিরোককে মারধর করে মোবাইল ফোন ও তার থেকে আনুমানিক নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছি এবং তার মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে ফেলেছি। যা সম্পন্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট।

প্রকৃত ঘটনা হলো, আমি নুরুন্নাহার বেগমের কাছে কখনো কোনো চাঁদা দাবি বা আদায় করি নি। বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় রিপন নামের এক ব্যক্তির লিচুর ব্যবসা নিয়ে কৃষাণী নুরুন্নাহারের স্বামী রবিউল ইসলাম রবি বিশ্বাসের ছোট ভাই উজ্জলের সঙ্গে সালিশী বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে রিপনের টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব নেন নুরুন্নাহার বেগম। কিন্তু কোনো কারণবশত সেই টাকা দেবরের নিকট থেকে আদায় করে পাওনাদার রিপনকে দিতে ব্যর্থ হন নুরুন্নাহার। গতকাল সেই পাওনা টাকা দেওয়ার কথা ছিলো। এজন্য নুরুন্নাহারের বড় ছেলে হিরোকের সঙ্গে দেখা করে পাওনা টাকা চাওয়া হয়। সে সময় হিরোক উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে এবং মোবাইল ফোনে তার মা নুরুন্নাহার বেগমকে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কৃষানী নুরুন্নাহার বেগম তার অপর তিন ছেলে সহ ২৫-৩০ জন আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাঠি সোঠা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে মাস্টার মোড়ে অবস্থিত বিএনপি’র দলীয় অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া সহ বিএনপি’র বিভিন্ন নেতাকর্মীর ছবি ছিড়ে ফেলে। সেসময় নুরুন্নাহারের সন্ত্রাসী বাহিনীরা গুলি ছুড়লে সেই গুলিতে তার তিন সন্তান গুলিবিদ্ধ হয়। সেই সময় আমি এবং আমার সহযোদ্ধা উপজেলা ছাত্রদলের নেতা ইব্রাহিম হোসেন, সজীব হোসেন, চমন সহ কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হই।।

পরের স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা নুরুন্নাহার বেগম সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে ধাওয়া দিলে তারা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এ সময় নুরুন্নাহার বেগমের বড় ছেলে হীরকের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল উত্তেজিত জনতা পুড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হীরকের মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অথচ তারা আমাদের হয়রানি ও দলীয় মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা মামলার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা সব ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই। এসময় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি এবং সাংবাদিকদের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবদল নেতা আরিফ বাঙাল, সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক আলম প্রামাণিক, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য তসলিম আলী, বিএনপি নেতা স্বপন প্রামাণিক, বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, সলিমুদ্দিন সরদার সহ অন্যান্যরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কৃষানীসহ তিন ছেলে গুলিবিদ্ধ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০১:৪২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

চাঁদা না দেওয়ায় জাতীয় পদক প্রাপ্ত কৃষানী ও জয় বাংলার নারী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী নুরুন্নাহার বেগমসহ তার তিন ছেলে গুলিবিদ্ধ শিরোনাম সহ বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা সলিমপুর ইউনিয়নের মাস্টার মোড় সংলগ্ন ওয়ার্ড ছাত্রদলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা তারুণ্যদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাব্বি মালিথার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা ছাত্রদল নেতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইব্রাহিম হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় উল্লেখিত সংবাদে, আলতাফ শাহের মাজারে বার্ষিক ওরশের নামে চাঁদা নিতে আমার নেতৃত্বে একদল যুবক নুরুন্নাহার বেগমের বাড়িতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ৩ হাজার টাকা আদায়ের কথা বলা হয়েছে। এবং চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওরশ শেষে আবারো ৫ লাখ টাকা চাদা দাবী করে নুরুন্নাহার বেগমকে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং কাল্পনিক। এহেন মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সংবাদের আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় আমি ও আমার নেতা আরিফ বাঙ্গালের নেতৃত্বে কৃষাণী নুরুন্নাহারের বড় ছেলে রায়হান কবির হিরোককে মারধর করে মোবাইল ফোন ও তার থেকে আনুমানিক নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছি এবং তার মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে ফেলেছি। যা সম্পন্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট।

প্রকৃত ঘটনা হলো, আমি নুরুন্নাহার বেগমের কাছে কখনো কোনো চাঁদা দাবি বা আদায় করি নি। বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় রিপন নামের এক ব্যক্তির লিচুর ব্যবসা নিয়ে কৃষাণী নুরুন্নাহারের স্বামী রবিউল ইসলাম রবি বিশ্বাসের ছোট ভাই উজ্জলের সঙ্গে সালিশী বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে রিপনের টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব নেন নুরুন্নাহার বেগম। কিন্তু কোনো কারণবশত সেই টাকা দেবরের নিকট থেকে আদায় করে পাওনাদার রিপনকে দিতে ব্যর্থ হন নুরুন্নাহার। গতকাল সেই পাওনা টাকা দেওয়ার কথা ছিলো। এজন্য নুরুন্নাহারের বড় ছেলে হিরোকের সঙ্গে দেখা করে পাওনা টাকা চাওয়া হয়। সে সময় হিরোক উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে এবং মোবাইল ফোনে তার মা নুরুন্নাহার বেগমকে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কৃষানী নুরুন্নাহার বেগম তার অপর তিন ছেলে সহ ২৫-৩০ জন আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাঠি সোঠা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে মাস্টার মোড়ে অবস্থিত বিএনপি’র দলীয় অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া সহ বিএনপি’র বিভিন্ন নেতাকর্মীর ছবি ছিড়ে ফেলে। সেসময় নুরুন্নাহারের সন্ত্রাসী বাহিনীরা গুলি ছুড়লে সেই গুলিতে তার তিন সন্তান গুলিবিদ্ধ হয়। সেই সময় আমি এবং আমার সহযোদ্ধা উপজেলা ছাত্রদলের নেতা ইব্রাহিম হোসেন, সজীব হোসেন, চমন সহ কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হই।।

পরের স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা নুরুন্নাহার বেগম সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে ধাওয়া দিলে তারা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এ সময় নুরুন্নাহার বেগমের বড় ছেলে হীরকের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল উত্তেজিত জনতা পুড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হীরকের মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অথচ তারা আমাদের হয়রানি ও দলীয় মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা মামলার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা সব ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই। এসময় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি এবং সাংবাদিকদের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবদল নেতা আরিফ বাঙাল, সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক আলম প্রামাণিক, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য তসলিম আলী, বিএনপি নেতা স্বপন প্রামাণিক, বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, সলিমুদ্দিন সরদার সহ অন্যান্যরা।