শিক্ষা – ঐক্য – প্রগতি: ছাত্রদলের মূল নীতি নিয়ে— ফাহিম আল ইবনে রাব্বীর গভীর বিশ্লেষণ

- আপডেট সময় : ০৫:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
“বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মূল নীতি ‘শিক্ষা – ঐক্য – প্রগতি’ শুধু একটি স্লোগান নয়, বরং এটি ছাত্রসমাজের মুক্তি, জাতীয় উন্নয়ন এবং আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের দিকনির্দেশনা”—এমন মন্তব্য করেছেন ছাত্রদল নেতা ফাহিম আল ইবনে রাব্বী। বগুড়া প্রতিনিধিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “শিক্ষা হলো আলোকিত চেতনার ভিত্তি, যা কেবল পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং স্বাধীন ও সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটায়, নৈতিকতার ভিত্তি স্থাপন করে এবং তরুণ প্রজন্মকে গবেষণা, প্রযুক্তি ও আধুনিক দক্ষতায় এগিয়ে নিয়ে যায়। আমরা চাই একটি বৈষম্যমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা, যেখানে প্রত্যেক ছাত্র সমান সুযোগ পাবে নিজের মেধা ও যোগ্যতা বিকাশের।”
তিনি আরও বলেন, “ঐক্য ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হতে পারে না। বিভক্ত ছাত্রসমাজ কখনো জাতিকে বড় পরিবর্তন এনে দিতে পারেনি। তাই ছাত্রদল বিশ্বাস করে—ঐক্য মানে কেবল সংগঠনের ভেতরে সংহতি নয়, বরং স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য সব প্রগতিশীল শক্তিকে একত্রিত করা। আঞ্চলিকতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সামাজিক বিভাজন ভুলে ছাত্রসমাজকে একই লক্ষ্য ও স্বপ্নে ঐক্যবদ্ধ করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।”
প্রগতিকে ছাত্রদলের তৃতীয় নীতি হিসেবে বর্ণনা করে ফাহিম আল ইবনে রাব্বী বলেন, “প্রগতি মানে শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, বরং চিন্তার মুক্তি, মানবাধিকারের নিশ্চয়তা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে বিশ্বমানের নেতৃত্ব প্রদান। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে, গ্রাম ও শহরের বৈষম্য দূর হবে, এবং তরুণরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পে বিশ্বমানের অবদান রাখবে। প্রগতি মানে এমন এক সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হবে।”
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “শিক্ষা – ঐক্য – প্রগতি এই তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়েই আমরা এমন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই, যারা হবে শিক্ষিত, ঐক্যবদ্ধ ও প্রগতিশীল। এই প্রজন্মই দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রকৃত রক্ষক। যতদিন এই নীতির পতাকা উঁচু থাকবে, ততদিন আমরা অটল থাকবো একটি সমৃদ্ধ, ন্যায্য ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনের সংগ্রামে।