ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভালুকায় আকাশমণি গাছ জব্দ, ড্রাইভার মুক্তির অভিযোগ সোনাতলায় অনলাইন জুয়ার সর্বনাশা থাবা: বিলীন হচ্ছে তারুণ্য, সর্বস্বান্ত বিভিন্ন পেশার মানুষ Мелбет букмекерская контора официальный сайт: обзор и прогнозы 2025 বিলাইছড়ি উপজেলা পরিদর্শনে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল খালেক  রাজৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে হেলেন জেরিন খান ভ্যাটের দরবেশ জাকিরের দুর্নীতি : খুঁটির জোড় কোথায় ? নির্বাহী প্রকৌশলী বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ফ্যাসিস্ট লীগের দোসর হাসমত আলী পি ডি বির বিতরণ বিভাগে এখনো বহাল তবিয়তে নরসিংদীতে আলোকবালীতে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা ঢাকা–পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হলে কঠোর আন্দোলন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের হুঁশিয়ারি

ঢাকা–পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হলে কঠোর আন্দোলন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের হুঁশিয়ারি

এম মনিরুজ্জামান, পাবনা:
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে

পাবনার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবী ঢাকা–পাবনা সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস চালুর জন্য শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে। ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ট্রেন সার্ভিস চালু না হলে তারা রেল ভবন ঘেরাও এবং বৃহত্তর গণআন্দোলনসহ কঠোর পদক্ষেপ শুরু করবে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা। তিনি বলেন, “রেল দপ্তর ও সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছার অভাবেই পাবনা–ঢাকা ট্রেন সার্ভিস এখনো চালু হয়নি। বারবার ফাইল নড়াচড়া হলেও সিদ্ধান্ত আসে না অদৃশ্য শক্তির কারণে প্রকল্প আটকে আছে। এটি পাবনার মানুষের ভবিষ্যত হরণের সমতুল্য, আমরা আর চুপ থাকব না।”

মো. খান হাবিব মোস্তফা সতর্ক করে বলেন, “যারা এই ট্রেন প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে, তারা যদি এখনই সরে না আসে, তবে পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাদের নাম, পরিচয় ও কৌশল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। পাবনার উন্নয়নকে যারা বাধা দেবে, তাদের ‘পাবনা-বিরোধী মহল’ হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত করা হবে।”

অভিযোগ রয়েছে যে পাবনা পরিবহন সেক্টরের একটি প্রভাবশালী মহল নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে রেল যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত করছে। “ঢালারচর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের সময়ও এই মহল প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছিল। আজও তারা সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছে যেন পাবনা থেকে সরাসরি ঢাকা রেল সার্ভিস শুরু না হয়।

সংগঠনটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আশ্বাসের কথাও সংশয় সৃষ্টি করে উল্লেখ করেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ৩ অক্টোবর পাবনা সফরে বলে গেছেন ঢাকা–পাবনা সরাসরি রেল সংযোগ বাস্তবে রূপ নেবে তবে প্রায় তিন সপ্তাহ পার হওয়ার পরও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। নেতারা বলেন, “আমরা আর মিষ্টি কথায় ভরসা করব না; আমরা চাই তারিখ, সিদ্ধান্ত, ও কাজ শুরু হওয়ার প্রমাণ।”

শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন তাদের ১৬ দফা উন্নয়ন রূপকল্পের মধ্যে বিশেষভাবে চারটি প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দাবি করেছে। ওই চারটি হলো ঢাকা–পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস চালু, পাবনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, পাবনা শিল্পাঞ্চল সম্প্রসারণ ও পদ্মা নদীভিত্তিক ইকো-ট্যুরিজম জোন প্রতিষ্ঠা। এই চারটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাবনার অর্থনীতি, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের চিত্র আমূল বদলে যাবে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের স্বার্থের জন্য পুরো জেলার ভবিষ্যৎ আটকে রেখেছে।

ফাউন্ডেশনের নেতারা সরকারের প্রতি শেষবারের মতো আহ্বান জানিয়ে বলেন, “পাবনার উন্নয়নকে রাজনীতির বলি হতে দেবেন না। জনগণের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে। এখনই সময় বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার। না হলে রাস্তায় নেমে পাবনার মানুষই ইতিহাস তৈরি করবে।” সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা সংবাদ সম্মেলন শেষ করে যোগ করেন, “আমরা কথা নয়, কাজ চাই পাবনার মানুষ আর প্রতিশ্রুতি শুনতে চায় না; তারা দেখতে চায় ট্রেনের হুইসেল, যা উন্নয়ের প্রতীক হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঢাকা–পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হলে কঠোর আন্দোলন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ১২:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

পাবনার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবী ঢাকা–পাবনা সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস চালুর জন্য শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে। ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ট্রেন সার্ভিস চালু না হলে তারা রেল ভবন ঘেরাও এবং বৃহত্তর গণআন্দোলনসহ কঠোর পদক্ষেপ শুরু করবে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা। তিনি বলেন, “রেল দপ্তর ও সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছার অভাবেই পাবনা–ঢাকা ট্রেন সার্ভিস এখনো চালু হয়নি। বারবার ফাইল নড়াচড়া হলেও সিদ্ধান্ত আসে না অদৃশ্য শক্তির কারণে প্রকল্প আটকে আছে। এটি পাবনার মানুষের ভবিষ্যত হরণের সমতুল্য, আমরা আর চুপ থাকব না।”

মো. খান হাবিব মোস্তফা সতর্ক করে বলেন, “যারা এই ট্রেন প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে, তারা যদি এখনই সরে না আসে, তবে পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাদের নাম, পরিচয় ও কৌশল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। পাবনার উন্নয়নকে যারা বাধা দেবে, তাদের ‘পাবনা-বিরোধী মহল’ হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত করা হবে।”

অভিযোগ রয়েছে যে পাবনা পরিবহন সেক্টরের একটি প্রভাবশালী মহল নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে রেল যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত করছে। “ঢালারচর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের সময়ও এই মহল প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছিল। আজও তারা সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছে যেন পাবনা থেকে সরাসরি ঢাকা রেল সার্ভিস শুরু না হয়।

সংগঠনটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আশ্বাসের কথাও সংশয় সৃষ্টি করে উল্লেখ করেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ৩ অক্টোবর পাবনা সফরে বলে গেছেন ঢাকা–পাবনা সরাসরি রেল সংযোগ বাস্তবে রূপ নেবে তবে প্রায় তিন সপ্তাহ পার হওয়ার পরও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। নেতারা বলেন, “আমরা আর মিষ্টি কথায় ভরসা করব না; আমরা চাই তারিখ, সিদ্ধান্ত, ও কাজ শুরু হওয়ার প্রমাণ।”

শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন তাদের ১৬ দফা উন্নয়ন রূপকল্পের মধ্যে বিশেষভাবে চারটি প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দাবি করেছে। ওই চারটি হলো ঢাকা–পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস চালু, পাবনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, পাবনা শিল্পাঞ্চল সম্প্রসারণ ও পদ্মা নদীভিত্তিক ইকো-ট্যুরিজম জোন প্রতিষ্ঠা। এই চারটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাবনার অর্থনীতি, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের চিত্র আমূল বদলে যাবে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের স্বার্থের জন্য পুরো জেলার ভবিষ্যৎ আটকে রেখেছে।

ফাউন্ডেশনের নেতারা সরকারের প্রতি শেষবারের মতো আহ্বান জানিয়ে বলেন, “পাবনার উন্নয়নকে রাজনীতির বলি হতে দেবেন না। জনগণের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে। এখনই সময় বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার। না হলে রাস্তায় নেমে পাবনার মানুষই ইতিহাস তৈরি করবে।” সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা সংবাদ সম্মেলন শেষ করে যোগ করেন, “আমরা কথা নয়, কাজ চাই পাবনার মানুষ আর প্রতিশ্রুতি শুনতে চায় না; তারা দেখতে চায় ট্রেনের হুইসেল, যা উন্নয়ের প্রতীক হবে।