সংবাদ কর্মীদের মামলার হুমকি
অবৈধ তুলার মিলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি
- আপডেট সময় : ০১:৫১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলা ৪নং গোবিন্দাসী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে গড়ে উঠেছে এক অবৈধ তুলার মিল , যার নেই কোন সরকারি অনুমোদন কোন কাগজপত্র , যমুনা প্রেসক্লাব এর মোঃ আসিফ মুভি বাংলা টেলিভিশনের সাংবাদিক ও দৈনিক ঘোষণার আব্দুল্লাহ সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মিল মালিক রাজু খান বলেন এখানে আপনাদের চাইতে বড় বড় সাংবাদিক যুক্ত আছেন, আমি আপনাদের নামে মামলা করব এ ধরনের হুমকি দেয়,২৬ অক্টোবর ২০২৫ – দেশে অবৈধ তুলার মিলের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব মিলের কার্যক্রম পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী আইন অমান্য করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তুলা উৎপাদন করছেন, যা মানবস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব মিলগুলোর অনেকগুলোতে শ্রমিকদের কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই, এবং অনেক মিলেই বিষাক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার হয় যা সরাসরি পরিবেশ ও পানি দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
পরিবেশ বিপর্যয় ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অবৈধ মিলগুলোর ময়লা, বর্জ্য এবং রাসায়নিক পদার্থ নালা ও মাটিতে মিশে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব রাসায়নিক মানুষের শ্বাসকষ্ট, ত্বক রোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
মিল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এসব মিলের অধিকাংশই পরিবেশগত নিরাপত্তা বিধি অনুসরণ করে না এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোন ব্যবস্থা নেয় না। এসব মিলগুলোতে শ্রমিকদের অধিকাংশই নারী ও শিশু, যারা নিম্নমুখী বেতন এবং সাস্থ্যগত সমস্যা নিয়ে কাজ করেন।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধ মিলগুলো বন্ধ করার জন্য আরও কঠোর আইন প্রণয়ন এবং মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করার প্রয়োজন। এ ছাড়া, সরকারকে এসব মিলগুলোর বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং স্থানীয় জনগণকেও এসব সমস্যা সম্পর্কে জানাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদরা বলছেন, সঠিক পরিবেশ সংরক্ষণ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে ব্যাপক শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে।
এই অভিযান দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অবৈধ মিলের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

















