ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশের ভুয়া ভিসায় ১৬ কোটি টাকা হাতিয়েছে আটক  দম্পতি

মালিকুজ্জামান কাকা, নাটোর
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে

বিদেশ পাঠানোর কথা বলে দেশের বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মামলায় সেই দম্পতি এখন কারাগারে। আর ভুক্তভুগি ক্ষতিগ্রস্ত সেই সব মানুষ এখন পাওনা টাকার জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছেন। ঐ মিন্টু বৃষ্টি দম্পতি কে নাটোর থেকে আটক করেছে যশোর কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

মিজানুর রহমান মিন্টু ও তার স্ত্রী বৃষ্টি ঘোষ ওরফে বৃষ্টি বেগমকে নাটোর শহরের মীরপাড়া থেকে আটক করে গত বুধবার ২২ অক্টবর রাতে যশোরে নেয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। টাকা দেওয়া ভুক্তভুগিরা এখন যশোরের বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছে। এই দম্পতি অন্তত ১৬ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মিন্টু সদর উপজেলার সতিঘাটা কামাল পুরের মৃত আবুল কালামের ছেলে। সে তার স্ত্রী কে নিয়ে চোরমারা দীঘির পাড়, চাঁচড়া, ঘোপ এলাকায় ভাড়া ছিল। মিন্টু বৃষ্টি আটক হলেও তার দোসররা এখনো প্রকাশ্যে। এরা মানুষজন কে হুমকি দিয়েই চলেছে বলে জোর অভিযোগ রয়েছে। আর এতে উত্তাল যশোর। বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টবর এই দম্পতির দুই দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে।

যশোর থেকে পালিয়ে নাটোর সদর উপজেলার বড় হরিশপুর এলাকায় ইউরো ভিসা হেল্প সেন্টার বিডি নামে অফিস খোলেন মিজানুর রহমান মিন্টু। ওই টাকা ফেরত চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। নাটোরে মিন্টু দম্পতির নামে অন্তত ৫টি ট্রাক রয়েছে বলে সূত্র জানায়।

বুধবার ১৫ অক্টবর গভীর রাতে ওই দম্পতিকে কোতয়ালি মডেল থানায় নেয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শত শত ভুক্তভোগি থানার সামনে জড়ো হয়। ওই সময় তারা টাকা ফেরৎ ও তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শ্লোগান দেয়। বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে বিভিন্ন এলাকার মানুষ নানা রংয়ের প্লাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করে। সেখানে তাদের টাকা ফেরৎ, মিন্টু এবং বৃষ্টির শাস্তির দাবি জানানো হয়।
কোতয়ালি মডেল থানার এসআই তাহমিদুল হক জানান, গত ১১ অক্টোবর কোতয়ালি থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শেখ হাসানুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগি। তিনি যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া এলাকার মৃত শেখ আব্দার রহমানের ছেলে। তিনি অভিযোগ করেন, তার শ্যালক নাবিলকে কানাডা পাঠানোর মৌখিক চুক্তিতে বিভিন্ন সময় ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন ওই দম্পতির কাছে। এছাড়া মামলায় উল্লেখিত সাক্ষীদের কাছ থেকে ১৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করে। কানাডা না পাঠিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে প্রতারণা করে। পরে টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা করে।

ধুরন্ধর ওই দম্পতিকে আটকের খবরে যশোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে ছুটে আসেন প্রায় শত ভুক্তভোগি। জেলে পাঠানো নিশ্চিত হওয়ার পর তারা প্রেসক্লাব যশোরের সামনে জড়ো হন। এর আগে বুধবার গভীর রাতে তারা কোতয়ালি মডেল থানার সামনে জড়ো হন।
কোতয়ালি মডেল থানার এসআই তাহমিদুল ইসলাম জানান, আটক দম্পতির বিরুদ্ধে যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত ২০০ জনকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের এই টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা নাটোরে আত্মগোপন করেছিলেন। সেখান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

ভুক্তভুগিরা জানায়, যশোরে থাকা কালীন সময়ে মিন্টু নিয়মিত মোটর সাইকেল মহড়া দিত। সে নিজেকে যুবদল নেতা দাবি করে হররোজ মদ আর নিশি নারীর আড্ডা বসাত। তার সাথে থাকা বাহিনীর সদস্যদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারতো না। এই বাহিনীর সদস্যদের মাঝে ছিল চোরমারা দীঘির পাড়ের সাগর ভাসা, ডালমিল মাঠ পাড়ার নূর আলমের ছেলে, তেঁতুল তলার মনু মিয়ার ছেলে সুজন, ৩নং পানির ট্যাঙ্কির সামনে মুজিব সড়কের আওয়ামীলীগ ক্যাডার মুদি দোকানদার জীবন, সোর্স বিদ্যুৎসহ প্রায় ত্রিশ জন। এরা মিন্টুর হয়ে মানুষ জনকে হুমকি ধামকি দিত। মিন্টু এদের মোটর সাইকেল কিনে দিয়েছিলো। স্থানীয়রা জানায় এদের মধ্যে সুজন দুই মাস আগে মৃত্যুবরণ করেছে। উল্লেখিতদের মধ্যে বিদ্যুৎ আগেই মিন্টুর কাছ থেকে সরে গেছে।

ভুক্তভুগি শেখ হাসানুর রহমানের স্ত্রী সাদিকা মুশতারী জানান, এই দম্পতি প্রায় ১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। মিন্টু আটক হওয়ার পর বিভিন্নজনের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সে প্রথমে যশোরের মানুষের কাছ থেকে ১৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নাটোরে গিয়ে আত্মগোপন করে। শহরের ঘোপ এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। এরপর গোপনে নাটোরে চলে যায়। সেখানে গিয়েও বিভিন্ন মানুষকে কানাডায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন। সব মিলিয়ে তার কাছে ২১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সংবাদ আছে।
প্রতারক মিন্টু দম্পতির আটকের খবরে প্রতারণার শিকার অন্তত শত ভুক্তভোগী ১৬ অক্টবর প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন করেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সাহিদুর রহমান সান্টু, সোহাগ হোসেন, মনিরুজ্জামান, সাহাজামাল, তরিকুল ইসলাম, আশিক, কামরুল ইসলাম, আবু তালেব, সাইদ হোসেন, মোস্তফা মোরশেদ, কামাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, কামরুজ্জামান রিপন, জুম্মান আক্তার, ইয়াসিন হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধন থেকে প্রতারক দম্পতির কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়। এখন টাকা পাওয়ার আশায় বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছেন তারা।

ভুক্তভুগি বাবলুর রহমানের অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন, মিজানুর রহমান দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর নামে অফিস খোলেন। এরপর ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে হাতিয়ে লাপাত্তা হন। কিছুদিন পর আরেক জেলায় গিয়ে নতুন অফিস খোলেন। যশোরেও তিনি একই কাজ করেছেন। নাটোরের একটি বাড়িতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তিনি অফিস করেছেন। ওই বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন, দিনের বেলায় অফিসটি বন্ধ থাকে। রাতে দুই থেকে তিন ঘন্টার জন্য অফিস খোলা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিদেশের ভুয়া ভিসায় ১৬ কোটি টাকা হাতিয়েছে আটক  দম্পতি

আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

বিদেশ পাঠানোর কথা বলে দেশের বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মামলায় সেই দম্পতি এখন কারাগারে। আর ভুক্তভুগি ক্ষতিগ্রস্ত সেই সব মানুষ এখন পাওনা টাকার জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছেন। ঐ মিন্টু বৃষ্টি দম্পতি কে নাটোর থেকে আটক করেছে যশোর কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

মিজানুর রহমান মিন্টু ও তার স্ত্রী বৃষ্টি ঘোষ ওরফে বৃষ্টি বেগমকে নাটোর শহরের মীরপাড়া থেকে আটক করে গত বুধবার ২২ অক্টবর রাতে যশোরে নেয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। টাকা দেওয়া ভুক্তভুগিরা এখন যশোরের বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছে। এই দম্পতি অন্তত ১৬ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মিন্টু সদর উপজেলার সতিঘাটা কামাল পুরের মৃত আবুল কালামের ছেলে। সে তার স্ত্রী কে নিয়ে চোরমারা দীঘির পাড়, চাঁচড়া, ঘোপ এলাকায় ভাড়া ছিল। মিন্টু বৃষ্টি আটক হলেও তার দোসররা এখনো প্রকাশ্যে। এরা মানুষজন কে হুমকি দিয়েই চলেছে বলে জোর অভিযোগ রয়েছে। আর এতে উত্তাল যশোর। বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টবর এই দম্পতির দুই দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে।

যশোর থেকে পালিয়ে নাটোর সদর উপজেলার বড় হরিশপুর এলাকায় ইউরো ভিসা হেল্প সেন্টার বিডি নামে অফিস খোলেন মিজানুর রহমান মিন্টু। ওই টাকা ফেরত চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। নাটোরে মিন্টু দম্পতির নামে অন্তত ৫টি ট্রাক রয়েছে বলে সূত্র জানায়।

বুধবার ১৫ অক্টবর গভীর রাতে ওই দম্পতিকে কোতয়ালি মডেল থানায় নেয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শত শত ভুক্তভোগি থানার সামনে জড়ো হয়। ওই সময় তারা টাকা ফেরৎ ও তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শ্লোগান দেয়। বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে বিভিন্ন এলাকার মানুষ নানা রংয়ের প্লাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করে। সেখানে তাদের টাকা ফেরৎ, মিন্টু এবং বৃষ্টির শাস্তির দাবি জানানো হয়।
কোতয়ালি মডেল থানার এসআই তাহমিদুল হক জানান, গত ১১ অক্টোবর কোতয়ালি থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শেখ হাসানুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগি। তিনি যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া এলাকার মৃত শেখ আব্দার রহমানের ছেলে। তিনি অভিযোগ করেন, তার শ্যালক নাবিলকে কানাডা পাঠানোর মৌখিক চুক্তিতে বিভিন্ন সময় ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন ওই দম্পতির কাছে। এছাড়া মামলায় উল্লেখিত সাক্ষীদের কাছ থেকে ১৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করে। কানাডা না পাঠিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে প্রতারণা করে। পরে টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা করে।

ধুরন্ধর ওই দম্পতিকে আটকের খবরে যশোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে ছুটে আসেন প্রায় শত ভুক্তভোগি। জেলে পাঠানো নিশ্চিত হওয়ার পর তারা প্রেসক্লাব যশোরের সামনে জড়ো হন। এর আগে বুধবার গভীর রাতে তারা কোতয়ালি মডেল থানার সামনে জড়ো হন।
কোতয়ালি মডেল থানার এসআই তাহমিদুল ইসলাম জানান, আটক দম্পতির বিরুদ্ধে যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত ২০০ জনকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের এই টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা নাটোরে আত্মগোপন করেছিলেন। সেখান থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

ভুক্তভুগিরা জানায়, যশোরে থাকা কালীন সময়ে মিন্টু নিয়মিত মোটর সাইকেল মহড়া দিত। সে নিজেকে যুবদল নেতা দাবি করে হররোজ মদ আর নিশি নারীর আড্ডা বসাত। তার সাথে থাকা বাহিনীর সদস্যদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারতো না। এই বাহিনীর সদস্যদের মাঝে ছিল চোরমারা দীঘির পাড়ের সাগর ভাসা, ডালমিল মাঠ পাড়ার নূর আলমের ছেলে, তেঁতুল তলার মনু মিয়ার ছেলে সুজন, ৩নং পানির ট্যাঙ্কির সামনে মুজিব সড়কের আওয়ামীলীগ ক্যাডার মুদি দোকানদার জীবন, সোর্স বিদ্যুৎসহ প্রায় ত্রিশ জন। এরা মিন্টুর হয়ে মানুষ জনকে হুমকি ধামকি দিত। মিন্টু এদের মোটর সাইকেল কিনে দিয়েছিলো। স্থানীয়রা জানায় এদের মধ্যে সুজন দুই মাস আগে মৃত্যুবরণ করেছে। উল্লেখিতদের মধ্যে বিদ্যুৎ আগেই মিন্টুর কাছ থেকে সরে গেছে।

ভুক্তভুগি শেখ হাসানুর রহমানের স্ত্রী সাদিকা মুশতারী জানান, এই দম্পতি প্রায় ১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। মিন্টু আটক হওয়ার পর বিভিন্নজনের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সে প্রথমে যশোরের মানুষের কাছ থেকে ১৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নাটোরে গিয়ে আত্মগোপন করে। শহরের ঘোপ এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। এরপর গোপনে নাটোরে চলে যায়। সেখানে গিয়েও বিভিন্ন মানুষকে কানাডায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন। সব মিলিয়ে তার কাছে ২১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সংবাদ আছে।
প্রতারক মিন্টু দম্পতির আটকের খবরে প্রতারণার শিকার অন্তত শত ভুক্তভোগী ১৬ অক্টবর প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন করেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সাহিদুর রহমান সান্টু, সোহাগ হোসেন, মনিরুজ্জামান, সাহাজামাল, তরিকুল ইসলাম, আশিক, কামরুল ইসলাম, আবু তালেব, সাইদ হোসেন, মোস্তফা মোরশেদ, কামাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, কামরুজ্জামান রিপন, জুম্মান আক্তার, ইয়াসিন হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধন থেকে প্রতারক দম্পতির কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়। এখন টাকা পাওয়ার আশায় বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছেন তারা।

ভুক্তভুগি বাবলুর রহমানের অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন, মিজানুর রহমান দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর নামে অফিস খোলেন। এরপর ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে হাতিয়ে লাপাত্তা হন। কিছুদিন পর আরেক জেলায় গিয়ে নতুন অফিস খোলেন। যশোরেও তিনি একই কাজ করেছেন। নাটোরের একটি বাড়িতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তিনি অফিস করেছেন। ওই বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন, দিনের বেলায় অফিসটি বন্ধ থাকে। রাতে দুই থেকে তিন ঘন্টার জন্য অফিস খোলা হয়।